প্রিয় শিক্ষার্থী,
স্টাডি ইন কানাডা আপ্লিকেশন সাপোর্ট সেন্টার ও লুকস গ্লোবাল এডুকেশন ম্যনেজমেন্ট লিমিটেড এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমরা কানাডায় উচ্চশিক্ষা বিষয়ক পরামর্শ, ভর্তি আবেদন, ও ভিসা কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকি। বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে, আমরা আমাদের সকল কার্যক্রম অনলাইনে নিয়ে এসেছি যাতে কোন শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ব্যহত না হয়। এর মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থী ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের সকল প্রকার সেবা ও কাউন্সেলিং গ্রহন করতে পারবেন।
কানাডাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য দরকার সুষ্ঠ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি। ছাত্র-ছাত্রীদের এই পরিকল্পনাকে তিনটি ধাপে বিভক্ত করা যায় –
১। কানাডাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথমে একজন স্টুডেন্টকে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান অথবা ব্যচেলর এবং অন্যান্য একাডেমীক যোগ্যতা থাকতে হবে। পূর্ববর্তী শিক্ষার ফলাফল ৬০% বা এর থেকে অধিক হতে হবে। খুব বেশী স্টাডি গ্যাপ না থাকাই ভাল।
কানাডাতে ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ ভাষা বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয় বিধায় ছাত্র-ছাত্রিদেরকে ইংরেজি অথবা ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ হতে হবে ও B2 লেভেল এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
ল্যাঙ্গুয়েজ সার্টিফিকেট বলতে আমারা সাধারণত IELTS, TOEFL, PTE ইত্যাদিকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকি। এছাড়াও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এর রয়েছে নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম যার মাধ্যমে তারা এই ল্যাঙ্গুয়েজ সার্টিফিকেট প্রদান করে। এছাড়াও রয়েছে Dulingo English Test যা একটি অনলাইন ভিত্তিক এক্সাম এবং বাসায় থেকেই এই এক্সাম দেয়া যায়। এটি তুলনমূলক অনেক সহজ একটি ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সাম এবং অন্যান্য এক্সামগুলর থেকে এখানে ভাল স্কোর করার সুযোগ অনেক বেশী। বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতে Dulingo English Test এর জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এই সার্টিফিকেটকে গ্রহন করছে।
২। এই ধাপে এসে ছাত্র-ছাত্রিদেরকে সকল একাডেমীক ডকুমেন্টস, পাসপোর্ট ও ল্যাঙ্গুয়েজ সার্টিফিকেট প্রস্তুত করতে হবে। এর পর তাদেরকে ঠিক করতে হবে তারা কোন বিষয়ে পড়তে আগ্রহি, কোন বিসশবিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী এবং কোন শহরে থাকতে আগ্রহী। বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিষয়সমূহ, অ্যাপ্লিকেশান রেকইরমেন্ট, এসওপি, টিউশন ফিস ও স্ট্রাকচার আলাদা। এ ছারাও এডমিশন পাওয়া নির্ভর করে একজন স্টুডেন্ট এর পূর্ববর্তী প্রোগ্রাম, চাকুরির অভিজ্ঞতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে। তাই এসকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মাথায় রেখে প্রোগ্রাম নির্ধারণ করতে হবে এবং আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় এর এডমিশন কমিটি আবেদন ও সকল ডকুমেন্ট এসেসমেন্ট করবে। বিশবিদ্দ্যালয়ের ভর্তির সকল শর্ত পুরন করলে এডমিশন কমিটি কন্ডিশনাল অফার লেটার ইস্যু করবে অথবা নোটিফিকেশন লেটার ইস্যু করবে। এরপর অফার লেটার এর শর্ত অনুযায়ী টিউশন ফিস পাঠাতে হবে।
মনে রাখতে হবে, টিউশন ফিস ব্যাংক এর মাধ্যমে স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টে পাঠাতে হবে। টিউশন ফিস পাঠানোর আগে অবশই রিফান্ড পলিসি ভাল ভাবে পরে নিতে হবে। টিউশন ফিস পাঠানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় একসেপ্টেন্স লেটার অথবা ফাইনাল অফার লেটার ইস্যু করবে।
৩। সর্বশেষ ধাপ হল ভিসার জন্য আবেদন। এ পর্যায়ে একজন স্টুডেন্টকে ভিসা/স্টাডি পারমিট এর আবেদন এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে কারন, স্টুডেন্টের অফার লেটার, সকল একাডেমীক ডকুমেন্টস, এসওপি, ল্যাঙ্গুয়েজ সার্টিফিকেট, ফাইনান্সিয়াল সল্ভেন্সি ডকুমেন্ট এবং আপ্লিকেশন এর মাধ্যমে ভিসা অফিসারকে আশ্বস্ত করতে হবে যে আবেদনকারী কানাডাতে পড়াশুনা করার যোগ্য এবং সফলভাবে প্রোগ্রাম শেষ করতে পারবে।
কানাডায় পড়াশোনা ও এর সাথে যাবতীয় খরচের সক্ষমতা প্রমানের জন্য ফাইনান্সিয়াল সল্ভেন্সি ডকুমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য সকল খরচ বহনে সক্ষম এমন একজন ব্যাক্তিকে স্টুডেন্ট এর স্পন্সর হতে হবে। স্পন্সর এর ব্যাংক একাউন্টে শেষ ৬ মাসে ৩০ লক্ষ টাকার অধিক টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর দেখাতে হবে। এছাড়াও Source of Income ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্টস আবেদন এর সাথে জমা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, স্পন্সর নিজের পরিবারের সদস্য যেমন বাবা, মা, ভাই অথবা বোন হওয়া খুবই জরুরী।
এ সকল ডকুমেন্টস নোটারাইজড করে এর সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, IRCC থেকে স্টাডি পারমিট আপ্লিকেশন এর নির্ধারিত ফর্ম পুরন করে বাংলাদেশস্থ VSF Canada office এ অ্যাপয়ন্টমেন্ট নিয়ে বায়ম্যট্রিক নিশ্চিত করে জমা দিতে হবে।
VSF Canada office স্টুডেন্ট এর সকল ডকুমেন্টস সিঙ্গাপুর ভিসা অফিসে পাঠায় এবং নির্দিষ্ট ৪৫ দিনের মধ্যে ই-মেইল ও এসএমএস এর মাধ্যমে ফলাফল জানিয়ে দেয়। যদি ভিসা/স্টাডি পারমিট ইস্যু হয় তা হলে সিঙ্গাপুর ভিসা অফিস ভিসা প্রদান করবে অথবা রিফিউজাল লেটার ইস্যু করবে। এই লেটার এর মাধ্যমে ভিসা না হওয়ার কারণগুলো জানা যাবে। এই কারণগুলো সমাধান করে আবার আবেদন করা যাবে।
লুকস গ্লোবাল এডুকেশন ম্যনেজমেন্ট লিমিটেড, খুবই দক্ষতার সাথে প্রীতিটি ভিসা/স্টাডি পারমিট অ্যাপ্লিকেশান স্টাডি করে থাকে এবং সকল ভিসার আবেদন সতর্কতার সাথে সম্পন্ন করে থাকে।
Looks Global Education Management Ltd. বাংলাদেশের সরকার অনুমোদিত একমাত্র আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক ট্রেড বডি ICEF দ্বারা স্বীকৃত।
Looks Global Education Management Ltd. এর মাধ্যমে বাংলাদেশে Study in Canada from Bangladesh Application Support Center, Study in UK from Bangladesh Application Support Center এবং EU Application Support Center পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, বিভিন্ন কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকগন তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য, আবেদন, স্কলারশিপ, ও ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। Looks Global Education Management Ltd. বাংলাদেশ, কানাডা, ইউ.কে. এবং উ.এ.ই, অফিসের মাধ্যমে সকল সেবা প্রদান করে থাকে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুনঃ www.studyincanada.com.bd
মোঃ সাইফুল ইসলাম শামীম (সি.ই.ও)
Looks Global Education Management Ltd.
বাংলাদেশ অফিস, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভেনিউ
ঢাকা ট্রেড সেন্টার, লেভেল – ১৩
কারওয়ান বাজার, ঢাকা – ১২১৫।
ফোনঃ +৮৮০১৯৭৩৯৬৫৫২৫, +৮৮০২৫৫০১১৯১৯
Thank You So Much